মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

মানুষের মৃত্যূর পর স্বজনের কিছু করণীয় আমল


মৃত্যুব্যাক্তির দাফনের পর স্বজনদের করণীয় কিছু আমল:
----------------------------------------
*সুরা ইয়াছিন পডা:
-----------------
নবী পাক (দ:) এরশাদ করেন, “এটি (সূরা এয়াসিন) ইন্তেকালপ্রাপ্ত বা ইন্তেকাল হতে যাচ্ছে এমন ব্যক্তির কাছে (’ইনদা) পাঠ করো।” [সুনানে ইবনে মাজাহ, কিতাবুল জানায়েয # ১৪৩৮]
সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থের ব্যাখ্যাকারী আরও বলেন, “হুযূর পাক (দ:)-এর ‘ইন্তেকালপ্রাপ্ত বা ইন্তেকাল হতে যাচ্ছে এমন ব্যক্তি’ এই বাণীর উদ্দেশ্য ইন্তেকাল হতে যাচ্ছে এমন ব্যক্তি অথবা (’আও’) ইন্তেকালপ্রাপ্ত (বা’দ) ব্যক্তিও।” [শরহে সুনানে ইবনে মাজাহ আল-সনদি, প্রাগুক্ত]
হুযূর পূর নূর (দ:) এরশাদ ফরমান, “একরা’ও ‘আলা মওতাকুম এয়াসীন”, মানে ‘তোমাদের মধ্যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত বা ইন্তেকাল হতে যাচ্ছে এমন ব্যক্তিদের কাছে সূরা এয়াসীন পাঠ করো।’
রেফারেন্স
 * আবূ দাউদ কৃত ‘সুনান’ (জানায়েয)
* নাসাঈ প্রণীত ‘সুনান’ (’আমল আল-এয়াওম ওয়াল-লায়লাহ)
 * ইবনে মাজাহ রচিত ‘সুনান’ (জানায়েয)
 * ইবনে হিব্বান লিখিত ‘সহীহ’ (এহসান); তিনি এটিকে সহীহ বলেছেন।
*মৃত্যব্যাক্তির কবরের সামনে দাডানো:----
সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আমর ইবনুল আস্ (রা:)-এর কথা বর্ণিত হয়েছে; তিনি বলেন: ’তোমরা যখন আমাকে দাফন করবে, তখন আমার কবরের পাশে ততোক্ষণ দাঁড়াবে যতোক্ষণ একটি উট যবেহ করে তার গোস্ত বিতরণ করতে সময় প্রয়োজন হয়; এতে আমি তোমাদের সঙ্গ লাভের সন্তুষ্টি পাবো এবং আল্লাহর ফেরেশতাদের কী জবাব দেবো তা মনঃস্থির করতে পারবো।’
* জানাজার নামাজের পুর্বে ছানা ও দুরুদ পডা:
ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আববাস -কে বলতে শুনেছি: উমার (রা:)-এর লাশ জানাযার খাটিয়ায় রাখা হলে উপস্থিত লোকজন, তার চারপাশে ভীড় করে দুআ-কালাম ও সালাত শুরু করে দেয়, তখনো সালাত আদায়ের জন্য লাশ উঠানো হয়নি। আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। বুখারী ৩৬৭৭, মুসলিম ২৩৮৯,

*জানাজার নামাজের পর সুরা ফতেহা পাঠ এবং দোয়া করা:
সুনানে আবি দাউদ’ পুস্তকের ’আওন আল-মা’বুদ শরহে সুনানে আবি দাউদ’ শীর্ষক ব্যাখ্যাগ্রন্থে বিবৃত হয়: “এবং নাসাঈ (শরীফে) হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসটি (যা’তে এরশাদ হয়েছে), মহানবী (দ:) জানাযার নামায পড়েন এবং সূরা ফাতেহা পাঠ করেন।”
*জানাজার নামাজের পর দোয়া/মোনাজাত করা:
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10153660300705999&set=pb.554860998.-2207520000.1451883470.&type=3&theater
*মানুষটি কেমন ছিলেন সেটি জিজ্ঞাস করা:
জানাজার নামাজের পর অনেক জায়গায় একজন ব্যাক্তি দাডিয়ে জিজ্ঞাস করেন,মানুষ টি কেমন ছিলেন,সেটির ভিত্তিও কোরআন হাদীসে রয়েছে:-
*মৃত্যব্যাক্তির জন্য তাহলীল পড়ার হকুম:
https://www.facebook.com/854596921225165/photos/pb.854596921225165.-2207520000.1451884724./942358745782315/?type=3&theater
*মৃত্যব্যাক্তি কে নিয়ে যাওয়ার সময় কালেমা/তাসহীহ পড়া:
https://www.facebook.com/854596921225165/photos/pb.854596921225165.-2207520000.1451957540./972589629425893/?type=3&theater
*সুরা বাকার তেলোওয়াত করা:
বর্ণিত আছে যে আল-’আলা ইবনে আল-লাজলাজ তাঁর সন্তানদেরকে বলেন, “তোমরা যখন আমাকে দাফন করবে এবং কবরের ‘লাহদ’ বা পার্শ্ববর্তী খোলা জায়গা স্থাপন করবে, তখন পাঠ করবে - বিসমিল্লাহ ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ - অর্থাৎ, মহান আল্লাহর নামে এবং মহানবী (দ:)-এর ধর্মীয় রীতি মোতাবেক। অতঃপর আমার ওপর মাটি চাপা দেবে এবং আমার কবরের শিয়রে সূরা বাকারা’র প্রারম্ভিক ও শেষের আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবে; কারণ আমি দেখেছি হযরত ইবনে উমর (রা:) তা পছন্দ করতেন।”
রেফারেন্
* ইমাম বায়হাকী, ‘আল-সুনান আল-কুবরা’ (৪:৫৬)
 * ইবনে কুদামা, ’আল-মুগনী’ (২:৪৭৪, ২:৫৬৭, ১৯৯৪ ইং সংস্করণের ২:৩৫৫)
 * আত্ তাবারানী, ‘আল-কবীর’; আর ইমাম হায়তামী নিজ ‘মজমা’ আল-যওয়াইদ’ (৩:৪৪) গ্রন্থে জানান যে এর সকল বর্ণনাকারীকেই নির্ভরযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
*চাল্লিশা:
 ইছালে ছওয়াবের উদেশ্য মৃত্যব্যাক্তির ৪০ দিন পর খাবর দাবারের আয়োজন করা হাদীস সম্মত:
প্রিয়নবী (দ) হযরত আমীরে হামযাহ (রা:) শাহাদাতের তৃতীয়, দশম, বিংশতম, চল্লিশতম দিবসে এবং ছয়মাস ও বছর দিবসে খাদ্য তৈরী করে এর সওয়াব পৌছিয়েছেন,।আর সাহাব কেরামও অনুরুপ করেছেন।
তথ্যসুত্র: রিয়াদুল মাকাসিদ, মোল্লা ছিদ্দীক যীরী কৃত: জামেউল ফিকাহ’য়, মাজমুয়ায়ে রেওয়ায়েত, ফাতউয়ায়ে না্ওয়াদির…উদ্বৃত: ফতোয়াজে আজিজিয়া।
*তৃতীয় দিন,চতুর্থ দিন খাবার বিতরণ:
হযরত আবু যার (রা:) থেকে বর্ণীততিনি বলেন রাসুল (দ:) ইরশাদ করেন,রাসুলর সন্তান হযরত ইব্রাহিম (রা) ওফাতের তৃতীয় দিন অতিবাহেত হওয়ার পর তখন আবু যার (রা:) নবী কারীম (দ:) নিকট আসলেন।তার সাথে ছিল কিছু শুকনো খেজুর,উঠের দুধ এবং যবের রুটি।তারপর তিনি সেইগুলি নবী কারীম (দ:)এর সামনে রাখলেন অতপর নবী কারীম (সা:) সুরা ফাতিহা,তিনবার সুরা ইখলাস পড়লেন।
তারপর বললেন- হে আল্লাহ !হযরত মোহাম্মদ মোস্তাফার উপর রহমত বর্ষন করো যেভাবে তোমার শানের উপকারী হয়,এবং তিনিও সেটির উপকারী হয়।তারপর দুহাত উঠালেন এবং তার চেহারা মোবারকে মাসেহ করলেন।তারপর তিনি হযরত আবু যার কে খাবারগুলি বন্ঠন করে দিতে বললেন। আর নবী কারীম (দ:) বললেন এই খাবারগুলির সওয়াব আমার ছেলে ইব্রাহিমের জন্য।
সুত্র: মোল্লা আলী কারী প্রনিত:কিতাবুল আওযাজান্দি ।
*যেয়াফত:
হযরত আবু হুরায়রাহ (রা থেকে বর্ণীত-
তিনি বলেন আমরা রাসুলে পাক (দ:) এর সাথে একটি যিয়াফতে উপস্থিত ছিলাম,উনার সামনে রান্না করা ছাগলের বাহুর মাংশ পেশ করা হল,তিনি এর থেকে এক টুকরা খেলেন এবং বললেন আমি কিয়ামতের দিন সমগ্র মানব জাতির সর্দার হব।’
বোখারী শরীফ:হাদিস নং-৩১০৪ (ই ফা)
এই ছাডাও হযরত আব্বাস (রা:)প্রতি বছর নবীজির যিয়াফত উপলক্কে একটি লাল উঠ জবেহ করতেন।
*মেজবান:
*খাওয়ানো একটি উত্তম আমল:--
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর{র:} হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,এক ব্যাক্তি রাসূল{স:}এর কাছে আরয করল,ইসলামে কোন অব্যসটি উওম?রাসূল{স:}উওরে বললেন,অপর কে খানা খাওয়ানো এবং পরিচিত অপরিচিত সবাই কে সালাম দেওয়া।[বুখারী ও মুসলিম)
বিস্তারিত পাবেন…………
https://www.facebook.com/854596921225165/photos/pb.854596921225165.-2207520000.1426841915./917646538253536/?type=3&theater
*কবর যেয়ারত:

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন