সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

ইমানের চতুর্থ স্তর

ইমানের চতুর্থ স্তর

ইমানের ৪থা  স্তর :- আল্লাহর মারেফত লাভ হওয়ার পর তার সমস্ত সত্তা তাহার আল্লাহ তায়ালার অনুগত হয়ে যায়। এক মাবুদ বেতিত অন্য কাহারো প্রতি তার সামান্যতম অনুগত্য ও প্রকাশ পায় না । 
কোন কিছুর প্রতি তাহার আর কোন আকষর্ন থাকে না। 

যে সব লোক প্রবৃত্তির তাড়নার সামনে অসহায় . প্রবৃত্তিই প্রকৃত পক্ষে তার মাবুদ মাওলাতে পরিনত হয় । এ বিষয়ে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত সরাসরি বলেছেন ;- ঐ লোকদের কে কি তুমি দেখ নাই ? যারা তাদের প্রবৃত্তি কে নিজের মাবুদ  হিসেবে গ্রহন করেছে। 

মাবুদ তাকেই বলা হয় যার ইবাদত করা হয়। কর্ম জীবনে যার গোলামী  করা হয়। এক মাত্র তারই ধ্যানে  মত্ত থাকা হয় । 

মানুষ সকল সময় যার ধ্যান বা যার গোলামী করে ও যার ধ্যানে সর্বদা  মত্ত থাকে তারই গোলাম বা বান্দা তে পরিনত হয়। 

এই কথা যদি বুঝতে কষ্ট হয় তা হলে বলব মনে করুন আপনি ও হয়ত কাহারো পেটনীতি দেখে বলেছিলেন যে এ সালা হচ্ছে পেটের পুজারী। আর কিছু বুঝে না। 
সতি্য যদি কেই শুধু তার পেটের পুজা করে তা হলে সে কার পেটের গোলাম বা বান্দায় পরিনত হবে।  আল্লাহর কাছে তাহার জন্য আর কিছু থাকে না। 

আর যাদের ইমান এই চতুর্থ স্থানে এসে উপনিত হয় তাহারা আল্লাহ ছারা আর কোন কিছু এক পলকের জন্য  ও মনে করে না। 

এ থেকে বোঝা যায় যে ;- এ থেকে বোঝা যায় যে , যে সব লোকের প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রন থাকে ও আল্লাহর সম্পুর্ণ অনুগত্য হয়ে যায় এক মাত্র তাদের কালেমা উচ্চারন করা যথেষ্ট ও যথার্থ হইয়া থাকে। 


আর নিজের প্রবৃত্তি নিজের নিয়ন্ত্রনে না এনে ও আল্লাহর সম্পুর্ণ বাধ্য না হয়ে এমন কালেমা পাঠ করলে কালেমার যথার্থ হক ও আদায় হয় না আর উচ্চারন কারি ও মিথ্যাবাদি প্রমানিত হইবে। 

কারন কালেমার হকিকত এর সাথে তার কর্মের কোন সামঞ্জস্য নাই। 

কসুলে আকরাম সাল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন ;- কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সীকৃতি বানদা কে আল্লাহর আযাব থেকে ক্রোমাগত দুরে নিয়ে যাবে , যতক্ষন না সে দীনের উপর সে দুনিয়া কে প্রাধান্য দিবে। 

যদি কেউ কালেমা পাঠ করার পর ও সে দীনের উপর দুনিয়া কে প্রাধান্য দেয় তা হলে আল্লাহ তায়ালা বলবেন :- তুমি মিথ্যা বলছ। তোমার এই সীকৃতি অন্তঃসার শুন্য। এ মিথ্যা বেতীত কিছুই নয় । 


তাই এমন কালেমা পঠ কিয়ামতে কোন কাজে আসবে না যেমন আমরা অন্তরে প্রতিক্রয়া  ছারাই কালেমা পাঠ করে থাকি। 


কালেমা পাঠ করা সেই সকল লোকদের বেলায় শুধুই যথার্থ হয়ে যাহাদের আল্লাহর মারেফত লাভ হওয়ার পর আল্লাহর হুকুম আহকামের সামান্যতম খেলাপ করা চিন্তা ও করেন না। কাহারো প্রতি সামান্য অনুগত্য ও প্রকাশ করেন না । শুধু তাহাজের বেলায় কালেমা পাঠ করা যথার্থ হয়ে থাকে। 


তাই আমাদের উচিত প্রবৃত্তির গোলাম না হয়ে আল্লাহর গোলামী তে সম্পুর্ণ নিমজ্জিত হওয়া। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন