মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

তাবলিগ জামাত নিয়ে ২৪ টা প্রশ্ন

তাবলিগ জামাত নিয়ে ২৪ টা প্রশ্ন

আশরাফুল আলম রনি নামে একজন দেওবন্দি কমেন্ট করেছে দেখে নিন আগে (

ইসলামের জ্ঞানে জ্ঞানী আলেম , পীর মাসায়েখ , সুফী সাধকরায় তবলিগ করবে সেটা কি আল্লাহ কোরআনে বলেছেন ? দাওয়াত ও তবলীগের কাজ সকল মুসলিমের উপর ফরজ । বর্তমান সূরা ইয়াসিনের উক্ত আয়াতের বানি অনুযায়ি বর্তমান ইলিয়াস রহঃ এর পদ্ধতিতে প্রচারিত তবলিগ দল এক মাত্র হক দার । তারা কোন দিনও কারো কাছে দুনিয়াবি কিছু চেয়েছে ? পারলে তাদের মত কাউকে দেখান । সুফীবাদের আসল রুপ

আমি অনার  এই কমেন্ট এর জবাবে বলেছিলাম যে , আমি আপনার এই কমেন্টের লিখিত জবাব দিতে তাই । আপনি কি পাল্টা জবাব দিবেন ? 

তিনি বেস্ততা দেখালে আমি অনাকে ১৫ দিন সময় দেই। ও আশা প্রকাশ করি যে আমাদের লিখনি সুন্নি দেওবন্দি বিভেদ কে ঐক্য পরিনত করবে । তিনি আমার শর্তে রাজী হয়ে আল্লাহর মদদ আশা করেন । ( আল্লাহ তাকে সহায়তা করুন ) 

মুল কথা ;- 

আমার দাবি তাবলিগের কাজ  হল ইসলামের জ্ঞানে জ্ঞানী আলেম ওলামা  পীর মাসায়েখ সুফি সাধকরা তাবলিগের কাজ করবে । 

যারা মুর্খ তারা করবে না তাবলিগের কাজ । 

জবাবে তিনি বলেছিলেন যে ;- 

ইসলামের জ্ঞানে জ্ঞানী আলেম , পীর মাসায়েখ , সুফী সাধকরায় তবলিগ করবে সেটা কি আল্লাহ কোরআনে বলেছেন ? দাওয়াত ও তবলীগের কাজ সকল মুসলিমের উপর ফরজ । বর্তমান সূরা ইয়াসিনের উক্ত আয়াতের বানি অনুযায়ি বর্তমান ইলিয়াস রহঃ এর পদ্ধতিতে প্রচারিত তবলিগ দল এক মাত্র হক দার । তারা কোন দিনও কারো কাছে দুনিয়াবি কিছু চেয়েছে ? পারলে তাদের মত কাউকে দেখান । সুফীবাদের আসল রুপ


এখন দলিল নিন ;- 

মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব তার মালফুজাত নং ৫০ এ বলেছেন নিজের তৈরি তাবলিগ জামাত সম্পর্কে কোরানের বানী ( তোমরাই শ্রেষ্ট উম্মত , যাহাদিগকে মানুষের উপকারের জন্য বাহির করা হইয়াছে , তোমরা সৎ কাজের আদেশ কর ও অসৎ কাজের নিষেধ কর ও আল্লাহ পাকের উপর ঈমান আন । 

মালফুজাত নং ৫০ ।



তিনি উপরোক্ত  মালফুজাত এ আরো বলেছেন যে ;- এই আয়াতের তাফসীর ও খাবে এই রুপ এলকা হইয়াছে যে , তোমরা নবীদের মত মানুষের উপকারের জন্য প্রেরিত হইয়াছ (মালফুজাত নং ৫০) 







এরুপ আপনারা আরো কয়েকটা আয়াত দলিল দিয়ে থাকে দেওবন্দি তাবলিগিগন  । যেমন সুরা ইমরান এর ১০৪ নং আয়াত । 



সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে আমাদের সকল কে । এটাই চরম সত্য কথা । কিন্তু সকলের একটা সীমা আছে । আমি আমার আলু ওজন করার দাড়ী পাল্লা দিয়ে যেমন পাহাড় ওজন করতে পারব না , বরং পাহাড় মাপতে গিয়ে নিজের আলু ওজনের দাড়ীপাল্লা নষ্ট হবে , তেমনি প্রতিটি বিষয় । 



জাকির নায়েক যেমন ডাক্তারি ছেড়ে দিয়ে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে দিনের পরে দিন ফেতনা তৈরি করতেছে , ঠিক তেমনি যদি সারা জীবন খেটে খাওয়া মানুষ আসে কোরান ও হাদীস ফেকাহ নিয়ে কথা বলতে , তবে হয়ত একদিন ফতোয়া দিয়ে বসবে জমিনে কিটনাশক ব্যবহার করা হারাম । কারন তাতে কিট মরে । 



উল্লেখ্য যে সুরা ইমরান আয়াত নং ১০৪ এ আল্লাহ তায়ালা বলেন ;- 


 “অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে একদল এমন হওয়া উচিৎ যারা কল্যাণ বা ইসলামের দিকে লোকদেরকে আহ্বান করবে, সৎ কাজের নির্দেশ দিবে এবং মন্দ কাজে নিষেধ করবে। আর তারাই হচ্ছে কামিয়াব বা সফলকাম।” (সুরা আলে ইমরান-১০৪)
উপরোক্ত আয়াতেও তোমাদের মধ্যে একদল লোক’ এই কয়টি শব্দ দ্বারা ইহাই পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, দাওয়াত বা তাবলীগ করার নির্দেশ সমস্ত মুসলমানদের উপর নয় বরং মুসলমানদের মধ্যে একদল অর্থাৎ আলেম সম্প্রদায়ের উপর ফরজ করা হয়েছে। এই আয়াতে নির্দেশিত তাবলীগ ইসলামের প্রথম যুগ হতে অদ্যাবধি ওলামায়ে কেরামগণ ও ওলি আল্লাহগণ এবং হাক্কানী পীর মাশায়েখগণ করে আসছেন এবং করবেন এই ধরার বুকে যতদিন মানুষের আবির্ভাব ঘটবে।
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে বায়জাভী’তে বলা হয়েছে-“ আয়াতে مِنْكُمْ(মিনকুম) এর ﻤﻥ ‘মিন’ শব্দটি কতক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কেননা সৎ কাজের নির্দেশ দান করা ও অসৎ কাজ হতে নিষেধ করা কিছু সংখ্যক লোকের উপর ফরজ, যাকে ফরজে কেফায়া বলে। কারণ এ কাজ সম্পাদনের জন্য যে শর্তাবলী রয়েছে, যেমন- শরিয়তের বিধি-নিষেধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া, এলমে মারেফত সম্পর্কে জ্ঞান থাকা, আহকাম বা বিধি-নিষেধের তাৎপর্য এবং এগুলি প্রয়োগ ও প্রতিষ্ঠা বা বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্বন্ধে অবগত হওয়া ইত্যাদি। অথচ এ সমস্ত শর্ত সকলের মধ্যে পাওয়া যায় না।”
আল্লামা আবু আবদিয়াহ মুহাম্মদ বিন আহমদ আনসারী (রহ.) তদ্বীয় ‘কুরতুবী শরীফ’ এর জুজে বাবে ১৬২ পৃষ্ঠায় উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন-
“আয়াতে উল্লেখিত مِنْكُمْ (মিনকুম) এর ﻤﻥ‘মিন’ শব্দটি ‘তাবঈজ’ বা কতক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, এর মর্মাথ হলো-নিশ্চয়ই উল্লেখিত বিষয়সমূহ (কল্যাণের দিকে আহবান, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ) উলামায়ে কেরামের উপর ওয়াজিব কেননা প্রত্যেক লোক আলেম নহে। কারণ নেক কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ ফরজে কেফায়া।
এতে সহজেই বুঝাযায় যে, তাবলীগ ফরজে কেফায়া। যেমন- জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ কিছু সংখ্যক লোক আদায় করলে সকলের আদায় হয়ে যায়। তেমনিভাবে তাবলীগও ফরজে কেফায়া। কিছু সংখ্যক লোক তথা ওলামায়ে কেরামগণ ও ওলি আল্লাহগণ এবং হাক্কানী পীর মাশায়েখগণ আদায় করলে সকলের আদায় হবে যাবে।
তাফসীরে জালালাইন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, “উক্ত আয়াতের ﻤﻥ ‘মিন’ শব্দটি দ্বারা কিছু সংখ্যক লোককে বুঝানো হয়েছে, কেননা তাবলীগে দ্বীন সম্পাদন করা ফরজে কেফায়া অর্থাৎ কিছু সংখ্যক লোকের উপর ফরজ। এ নির্দেশ সকল উম্মতের প্রতি নয়। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তি এ কাজের যোগ্য নয়। যেমন-জাহিল বা মূর্খ ব্যক্তি।”

আপনাদের জন্য স্বনামধন্য কিতাব তাফসীর ইবনে কাছির এর ৪থা খন্ডে ১৩৬ নং পেজে উক্ত আঁয়াতের  তাফসীর করতে গিয়ে লিখেছেন যে ;- হযরত যাহহাক (র) বলেন যে ;- উক্ত আয়াতের অর্থ হচ্ছে বিশিষ্ট সাহাবা ও হাদীসের বর্ননা কারী ।অর্থাৎ মুজাহীদ ও আলেমগণ ।  

তো উপরের বর্ননা গুলো যে কোন তাফসীর কিতাব থেকে মিলিয়ে নিবেন দয়া করে । 
সকল তাফসীরে উক্ত আয়াতের ব্যাখা বা তাফসীর একই  বলা হয়েছে । 

তো এখান থেকে পরিষ্কার যে , তাবলিগের কাজ কোন মুর্খ জন সাধারনদের জন্য নয় । 

বরং এটা একটা দলের কথা বলেছে । সবাই চাইলে সেই দলে যেতে পারেন না । 

যুদ্ধ করতে হলে আগে ট্রেনিং থাকতে হবে । 
ডাক্তারি করতে গেলে মেডিকেলে পড়তে হবে । 
এমন কি জমিতে ফসল ফলাতে হলে কৃষানের সাথে মাঠে দীর্ঘ দিনের প্রাকটিক্যাল জ্ঞান থাকতে হবে । 


অথচ তাবলিগ করবে ইসলামের আর ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হবে না তা কি করে হয় ? 

উপরোক্ত আয়াত ও তাফসীর থেকে এটা দিনের মতই পরিষ্কার যে , মাওলানা ইলিয়াচ সাহেব স্বীয় ৫০ নং মালফুজাত এ যে আয়াতে পাকের বর্ননা দিয়েছেন ও নিজের তৈরি তাবলিগ জামাত কে সম্পৃক্ত করেছেন তা নিতান্তই ভুল  ছিল । আর আবসোস যে দেওবন্দি জামাত অন্ধের মত তা বিস্বাস করে নিয়েছে । 


আর আপনি যে ব্যাখা দিয়েছেন তাবলিগের কাজ সকল মুসলিমদের উপরে ফরজ তা আপনার মত একজন শিক্ষিত লোক মুর্খদের মত কি করে এমন কথা বললো তা চিন্তা করতেছি এখন । 

যদি কোন কোরানের আয়াত থাকে সকল মুসলমানদের উপরে ফরজ হয়েছে তাবলিগের কাজ , কোন নির্ভরযোগ্য তাফসীর থেকে যদি তুলে ধরতে পারেন তা হলে অবশ্যই কবুল করব বলে ওয়াদা করলাম আমি । 

আর হা , আপনাদের দেওবন্দিদের কোন তাফসীর তুলে ধরবেন না দয়া করে। আর আমি নিজে ও কোন আমাদের সুন্নি আলেমের কিতাবের রেফারেন্স তুলে ধরতেছি না। কারন না আমি আপনাদের কথা গ্রহন করব না আপনি আমার কথা।  বরং নিরপেক্ষ পুর্বরতিদের কথা থেকে তুলে ধরুন । 


উপরের সকল আলোচনা থেকে আপনাকে প্রমান করতে হবে হাদীস কোরান বা কোন নির্ভরযোগ্য তাফসীর ও ফেকাহ থেকে এমন কি নির্ভরযোগ্য পুর্বরতি আলেমের বক্তব্য থেকে যে ;- 

(১) মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের ৫০ নং মালফুজাত এ যে আয়াতের ব্যাখা দিয়ে তার তৈরি তাবলিগ জামাত কে উল্লেখিত আল্লাহর মনোনীত দল বলে সম্বোধন করেছেন , তার নির্ভর যোগ্য দলিল  । 

(২) তাবলীগ আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ সুফি সাধকের জন্য নয় , বরং সকল মুসলমানের জন্য ফরজ ।

উপরের সকল আলোচনা থেকে আপনার কাছে ২ টা প্রশ্ন শুধু থাকল ।


পরের আলোচনা ;--

বেদাতি তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াছ মেওয়াতি এর (মালফুজাত এ মাওলানা ইলিয়াছ ) এর ৪২ নং মালফুজাত এ বলেছেন যে ;-  মুসলমান হচ্ছে দুই প্রকার , তৃতীয় কোন প্রকার নাই।  (১) যারা আল্লাহর রাস্তায় (তাবলীগের) বাহির হইবে।  (২) যারা তাদের সহায়তা করবে। 
তিনি বললেন , খুব ভাল বুঝিয়াছেন । অতপর বলছিলেন , লোককে বাহীর হইবার জন্য তৈরি করাও সাহায্যর মধ্য শামীল। তাহাদের কে বলিবে , তোমরা বাহীর হইলে অমুক আলেমের কোরান শরীফ ও অমুক আলেমের বুখারি শরিফে শিক্ষাদানে কোন ব্যাঘাত হবে না । তাবা হলে তোমরা ও উহাদের পড়ানোর সওয়াব। পাইবে । এই প্রকারের নিয়তের কথা বস্তা লোকদের সওয়াবের রাস্তা দেখানো উচিত

 মালফুজাত নং ৪২ 

৪২ নং মালফুজাত পুরা তুলে ধরলাম।  কারন হয়ত পরে বলবেন যে , আমি কেটে ছেঁটে তুলে ধরেছি । 

উপরের মাওলানা ইলিয়াছ এর বক্তব্য থেকে এটা পরিস্কার যে ;- তার মতে যারা তাবলিগে যাবে তারা এক মুসলমান , 
আর যারা তাহাদের কে সহায়তা করবে তারা আর এক মুসলমান । অন্যথা কোন মুসলমান নাই । এটা পরিষ্কার দিনের মতই।  

উক্ত মালফুজাত থেকে কয়েকটা প্রশ্ন করতে চাই ।
প্রশ্ন নং (৩) 
মুসলমান দুই প্রকার ভিন্ন তৃতীয় প্রকার মুসলমান যদি না থেকে থাকে , তা হলে মাওলানা ইলিয়াচ সাহেবের তৈরি তাবলীগ জামাতের আগে কি ভারতবর্ষ ও দুনিয়ার বুকে  মুসলমান ছিল না ? 

প্রশ্ন নং (৪) 
যদি মুসলমান না থেকে থাকে তা হলে কারা এই কথিত তাবলীগ তৈরি করল ? ইহুদি ? নাকি খৃষ্টান ? 

(৫)  আর মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের সম্মনিত পিতা ও বড় ভাই যিনি গাংগুহী সাহেবের শিষ্য ছিলেন , রশীদ আহমেদ গাংগুহী , কাশেম নানুতভী  এই সকল প্রমুখ আলেমগণ মাওলানা ইলিয়াচ সাহেব তৈরি তাবলিগে যেতে পারেন নাই ও সহায়তা ও করতে পারেন নাই । এমন কি আপনাদের পীরদের পীর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) ও পারেন নাই মাওলানা ইলিয়াছ এর তৈরি তাবলিগে যেতে বা সাহায্য করতে । 

এমন কি সাহাবা কেরাম তাবা তাবেয়ীগন ও পারেন নাই মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের তাবলিগে  যেতে বা সাহায্য করতে । তারা কি সবাই অমুসলিম ছিলেন ?
 তারা কি মুসলমান ছিলেন না ? 



যে মেওয়াত থেকে , বা কারা এই তাবলীগ জামাত তৈরি করল , তা একটু দেখে নেয়া যাক আপনাদের কিতাব থেকে । 

আবুল হাসাল আলী নদভী লিখেছেন যে ;- 

 তাদের মুর্খতা ও ধর্ম বিশাস এতটাই নিচে নিচু স্তর এর ছিল যে ১৮৭৮ এর একজন ইংরেজ ভূমি প্রসাশন অফিসার বর্ণনা করেছেন যে মেও জনগোষ্টি মেয়াতি মুসলমান  হলেও তা সুধু নাম মাত্র। হিন্দু জমিদারের উপাস্য দেবতাই মেওয়াত এর মুসলমানদের দেবতা। সবে বরাত,ঈদ , ও মহররম এর চেয়ে হাসি খেলার গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়। হিন্দুদের পূজা, হলি, জন্মাষ্টমী , দসহারা ইত্যাদি বেশ কিছু হিন্দু পরব মেওয়াত এর মুসলমান রা পালন করে থাকে। বিয়ে সাদী (শুভক্ষণ ) এ ব্রাক্ষণ পুরোহিত কে ডেকে নির্ধারণ করা হয়। রাম ছাড়া সব হিন্দুদের নাম তারা নামের সাথে গ্রহণ করে। তাদের নামের সাথে শেখ, সাইয়েদ , খান,  হক না থাকলে ও শিং এর বহুত বেবহার দেখা যায়। (মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত ) পৃষ্টা ৭২-৭৩ 



হিন্দুদের মতই মেওয়াত এর মুসলিম রা কাজকর্ম বন্ধ রেখে অমাবস্যা ও কৃষ্ণপক্ষ পালন করে। নতুন কুপ খনন এর আগে হনুমানের নাম চাবুতালা তৈরী করে নেয়। তবে লুটতরাজ এর বেলায় মন্দির ভিত্তিক বিশেষ কোনো ছার পায় না। বরং মন্দিরের পবিত্রতা কেউ বোঝাতে গেলে সোজা বলে দেয়:-

( তোমরা তো হলে দেও- আর আমরা হলাম মেও) পৃষ্টা ৭৩) 



ধর্মীয় জ্ঞান এ এরা এতটাই অজ্ঞ যে ২-১ জন কালেমা জানলে ও নামাজি তাও নেই। ইল্লোরের কাছে একটা মসজিদ ও মাদ্রাসা থাকায় তারা একটু আগ্রহ দেখাত ও নামাজি ও দেখা যেত। তাদের বিয়ের দিন খন পুরোহিত ঠিক করলে ও মূল পর্ব হত কাজী সাহেব কে দিয়ে। পাজামার চল নেই। ধুতি পরত সবাই। সোনার গহনা পরত সবাই। মূলত তারা হিন্দুদের অনুগামী ছিল। ( মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত ) পৃষ্টা ৭৩ 



তো জনাব আশরাফুল আলম রনি @ এই হচ্ছে মেওয়াত জনগোষ্টির নমুনা । এমন মুসলিম সমাজ থেকে আমাদের জন্য এই তাবলীগ এসেছে । যারা নিজেকে আধা হিন্দু , তারা আজ মসজিদে এসে হাত ধরে বলে বাবা কালেমা পড় । 

আমার হাত ধরেও কেউ কালেমা পড়তে বলেছিল । তখন বলেছিলাম আমি জন্ম নিয়েছি মুসলিম হয়ে। হিন্দুর ঘরে নয়। আমার জন্মের পরে কানে আজান দেওয়া হয়েছে , নতুন করে মুসলিম হতে হতে মা। শুধু আহকাম অনুসরন করলেই হবে। বরং হিন্দুদের কাছে যান কালেমা পাঠা করাতে । 

বেচারার মুখ তখন এমন হয়েছিল যে , মনে হয় দিন দুপুরে হিমালয়ে ধাক্কা খেল । 



তো এখন প্রশ্ন  হল যে ,

(৬) 

যদি এমন সমাজের এমন আদা হিন্দু দিয়ে কেউ তাবলীগ করাতে চায় , যা আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মাদির আলেম সমাজের জন্য নির্ধারিত করেছেন , তবে তাদের কে দিয়ে কি দ্বীনের খেদমত হবে  ? নাকি বেদাত ও মুশরিকের ফতোয়া মারা হবে   ? 



প্রশ্ন নং (৭)  

হাদিসে আছে বনী ইস্রালের নবীদের ন্যায় আমার উম্মতের আলেম । যাদের কে আল্লাহ তায়ালা তাবলিগের জন্য মনোনীত করেছেন । এই আপনাদের মুর্খ তাবলিগি গুলো কি বলা ইস্রাইলের নবীদের ন্যায় ? 



এর পর সাইয়েদ আবাল হাসান আলী নাদ্ভির লেখা কিতাব (মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত ) এর ১১৪ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে মাওলানা ইলিয়াছ মিয়া কিছু লোক সাহারানপুর ,রায়পুর,থানা ভবন এ পাঠাতে চাইলেন ও তাদের প্রতি মাওলানা ইলিয়াছের নির্দেশনা ছিল যে বুজুর্গদের সামনে তাবলিগ প্রসঙ্গ উক্খাপন করবে না। বুজুর্গ গণ কিছু জিজ্ঞাসা করলে জবাব দিবে। নিজে থেকে কছুই বলতে যাবে না। (মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত পৃষ্টা ১১৪-১১৫ ) 



উপরের রেফারেন্স থেকে এটা পরিস্কার যে ;- মাওলানা ইলিয়াত সাহেবের নিজের ও ভয় ছিল চরম ,  যে সেই সময়ে নতুন তৈরি কথিত তাবলিগ জামাত কে লোকে ঠেঙ্গানী না দেয় । তাই বুযুর্গ বেক্তিদের সামনে তাবলিগ বা তাদের আসল উদ্দেশ্য বিষয় বলতে  মানা করেছিলেন।  

এখন প্রশ্ন  নং ৮ ;-



যদি তাবলিগ সকল মুসলমানদের জন্য ফরজ হয় , তবে  এমন পবিত্র ফরজ কাজ আদায় করতে যারা যায় , তাদের কে আপনাদের এই মহান ফরজ তাবলিগ প্রসঙ্গে বুযুর্গদের সামনে কথা বলতে বা তুলে ধরতে কেন মানা করলেন ? 

প্রশ্ন নং ৯ ;-

নাকি এটা একটা নতুন বেদাত , পুর্বরতিদের তাবলিগের বিরোধী , এক নব ফেতনা  ?

প্রশ্ন নং ১০ ;- 

নাকি  মুসলমানদের কে তাদের পুর্বরতিদের তরিকা পথ রাস্তা , থেকে দুরে নিয়ে যাবে , ও বুযুর্গদের সামনে তুলে ধরলে তারা গলা ধাক্কা দিবে তার ভয়ে ? 


আবুল হাসান আলী নদভী লিখিত ;- মাওলানা ইলিয়াছ (রহ) ও তার দ্বীনি দাওয়াত নামক কিতাবের ৬৯ নং পেজে লিখেছেন যে ;- ইতিরুর্বে হযরত থানভীর মনে ও সন্দেহ ছিল যে , ৮-১০ বৎসর মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহন করা আলেমদের দিয়ে ও তাবলিগের আশানুরুপ ফল পাওয়া যাইত না । বরং নতুন নতুন ফেতনা সৃষ্টি হইয়ো পরিবেশ আরো জটিল হইয়া যাইতেছিল । সেই খানে এই মুর্খ মেওয়াতির দ্বারা তাবলিগের কি সাফল্য বলবে ? এই কথা হযরত থানভী বুঝিয়া উঠতে পারিতেছিলেন না । তাহার পুতিনক সন্দেহ ছিল যে ;- এই তরিকায় তাবলিগের কাজ করাতে নতুন ফেতনার সৃষ্টি না হইয়া যায় । 


এর একটু নিচে নাদভী সাহেব লিখেছেন যে ;- হযরত থানভীর আর একটা সন্দেহ ছিল যে ;- দ্বীনের যথেষ্ট ইলম ব্যাতীত এই সমস্ত লোক তাবলীগের গুরু দায়ীত্র কি রুপে পালন করিয়ে ??
কিন্তু যখন মাওলানা জাফর আহমেদ উসমানী বলিলেন , তাবলিগ জামাতের লোকটা যতটুকু বলিবার হলা হইয়াছে তত টুকুই বলেন । এর বাইরে কোন কথা বলেন না । নতুন কোন প্রসঙ্গ নিয়ে কোন আলোচনা করেন না ।তখন থানভী (রহ) এর এই সন্দেহ দূর হইল ।( আবুল হাসান নদভী লিখিত মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত ) পৃষ্টা নং ৬৯ ।

 

মাওলানা থানভী সাহেব ও জানতেন যে যাদের কে দিয়ে তাবলিগের কাজ শুরু করা হয়েছে তারা ছিল মুর্খ অশিক্ষিত । আর থানভী সাহেব এটা ও জানতেন যে ;- তাবলীগের কাজ আলেম সমাজের জন্য । 

আর তাবলিগ জামাতে যারা যায় তারা সত্যিকারের তোতা পাখি । তাদের কাছে শিরক বেদাত কবর পুজারী মাজার  পুজারী এই কথা গুলো শিখিয়ে দেয়া হয় , যে তোমরা তাবলিগিগন ছারা বাকি সব বেদাতি মুশরিক । 

এখন প্রশ্ন হলে (১১)  ;- আপনার থানভীর মতে তাবলিগ কাজ হল শিক্ষিতের জন্য ।
কিন্তু আপনাদের তাবলিগ জানাত কি মুর্খদের আড্ডা খানা নয় ? 

প্রশ্ন নং (১২) ;- আলেমদের কাজ তাবলীগ করা , কিন্তু মুর্খদের দিয়ে তাবলিগ তৈরি করে এটা কি বুযুর্গদের কোরান হাদিসের বিপরিত নয় ? 


আবুল হাসান আলী নদভী লিখিত (মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত ) কিতাবের ৬৮ নং পৃষ্টাতে লিখেছেন যে ;- একবার মাওলানা ইলিয়াচ সাহেব মাওলানা যাকারিয়া সাহেব কে লিখেছেন যে ;- আমার দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা এই যে ;- তাবলিগের জামাতগুলি , তরিকতের বুজুর্গদের খানকাগুলিতে গিয়ে খানকার পুর্ন আদব রক্ষা করত , সেখানকার ফয়েয বরকত গ্রহন করুক ।খানকায় অবস্থানের সময়ের মধ্যই আসে পাশের গ্রামগুলিতে গিয়ে দাওয়াতের কাজ ও যেন জারী থাকে । আপনি এই বিষয়ে আগ্রহী লোকদের সাথে আলোচনা করিয়ে একটা নিয়ম ঠিক করিয়ে রাখুন। বান্দা নাজীচ( ইলিয়াছ সাহেব ) কিছু সংখ্যার সঙ্গী সাথী নিয়ে এই সপ্তাহে হাজীর হইতেছে । তারপর দেওবন্দ ও থানা ভবনে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ( মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত ) পৃষ্টা নং ৬৮ ।

আপনাদের মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব এই চিঠি লিখেছিলেন নিজের আপন জামাতা মাওলানা যাকারিয়া সাহেব কে । 

এবং তাতে লিখেছিলেন যে ;- বুজুর্গদের খানকাগুলিতে অবর্তমান করত খানকার সম্মান বজায় রেখে ও তার মধ্য পাশের গ্রামগুলিতে দাওয়াত দেয়ার জন্য ।

এখন প্রশ্ন হল যে (১৩) 

আপনারা কি কোন বুজুর্গদের দিনের খানকাগুলিতে গিয়ে থাকেন ? নাকি শুধু মসজিদে ঘুমান ? 

প্রশ্ন নং ১৪ 
যদি দিয়ে থাকেন বুজুর্গদের খানকাগুলিতে , তবে বলুন এখন আমাকে যে , কোন বুযুর্গের খানকায় আপনার কোন দল কত দিন ছিল ? 
বা আপনি নিজে কোন বুযুর্গের খানকায় আপনি নিজে ছিলেন ? 

আপনাদের হয়ত জানা নাই যে তাবলিগ জামাতের প্রধান কাজ হচ্ছে পীর মুরিদির প্রচার করা। বিশ্বাস হয় না ? দেখুন :- 

বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের অন্যতম একজন আলেম ও মুফতি মাহমুদ হাসান গান্গুহির খলিফা শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা মামুনুর রশিদ সাহেব (দা;বা;) কে আশা করি তাবলিগ জামাতের কথিত ঠিকাদার গণ জানেন। তিনি মশা আল্লাহ অনেক উর্দু কিতাব বাংলায় অনুবাদ করা ছাড়া ও নিজ হাতেও মনে হয় কয়েকটা কিতাব লিখেছেন।



যাই হোক ওনার অনুবাদ কৃত মাওলানা জাকারিয়া (রহ) এর (আকাবির কা সুলুক ও এহ্সান ) ১৪ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- তাবলিগ জামাতের পূর্ববর্তী আকিদা বিচ্যুতির ফলে বাধ্য হয়ে কলম তুলে নিলাম , কিছু কালামে পাকের আয়াত ও হাদিস ও মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত (আবুল হাসান আলী নাদ্ভির লেখা ) মালফুজাত এ মাওলানা ইলিয়াছ ( মাওলানা মঞ্জুর নোমানী কর্তৃক সংগ্রহিত ও সংকলিত ও অনুবাদ ডা; মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ বেরিসটার ) অনুসরণে একটা কিতাব লিখলাম তার নাম দিলাম (রাসুলুল্লাহ (সা )এর দাওয়াত-তাবলিগ এবং হজরত মাওলানা ইলিয়াছ এর তাবলিগ ও পীর মুরিদী)  

এখন প্রশ্ন নং ১৫ ;-

আপনাদের  মামুনুর রশীদ সাহেব যিনি আপনাদের মাহমুদ হাসান গাংগুহীর খলিফা , তিনি মনে করেন যে বরি্কমান তাবলিগ জামাত বুযুর্গদের তাবলিগ জানাত থেকে সম্পুর্ন বিচ্যুত  । আর আপনি বলেছেন বর্তমান  তাবলিগ জামাত একমাত্র হক দল । এটা কি করে সম্ভব যে , পীরের চেয়ে মুরিদ ভাল জানে ? 



প্রশ্ন নং ১৬ ;-
যেখানে একজন খলিফা বর্তমান তাবলিগ কে বিচ্যুত বলে , সেখানে কি করে অন্যরা এটাকে নাজাতের পথ ও নবীওয়ালা কাজ দিবে করতে পারে ? 

পরের কথা ;- 

অকবির কা সুলুক ও এহসান কিতাবের ১৬ নং পৃষ্টায় আবার লিখেছেন যে ;- সেই কিতাবের বিষয়বস্তু ছিল দাওয়াত তাবলিগ - মাদ্রাসা ইলম হাসিল করা -পীর মুরিদী ইসলাহী মেহনত করা।

এটাই হল কোরানের আদেশ ও নবীর আদেশ এবং মাওলানা ইলিয়াছ (রহ) এর তরিকা এটাই মুমিন মুসলমানদের তরিকা হওয়া চাই ,মুরিদ না হলে কি শাস্তি হবে সে বিষয় মুসলিম সরিফের ২য় খন্ডের ১২৮ পৃষ্টায় বর্ণিত হাদিস কঠোর ভাষা সেই কিতাবে উল্লেখ করা হল।



আপনাদের মাহমুদ হাসান সাহেবের খলিফা মামুনুর রশীদ সাহেব লিখেছেন যে ;- তাবলিগের কাজ হল মাদ্রাসা ইলম হাসিল করা ও পীর মুরিদি ইসলাহী মেহনত করা ।



আপনাদের কৌমি মাদ্রাসায় সকল ছাত্রই তো তাবলিগে গিয়ে থাকেন বলা চলে । এখন জিগ্গেস করতে চাই যে , 

প্রশ্ন নং ১৭  ;- আপনি আল্লাহর ওয়াস্তে সত্য করে বলুন , কোন পীরের হাতে বাইয়েত হয়েছেন ?  

প্রশ্ন নং ১৮ আর এটা ও বলুন , বর্তমান ইজতেমা তে কে কার পীর ? কে কার খলিফা ? 



প্রশ্ন নং ১৯ :- আর এটা ও বলুন যে , তারা কোন বযুর্গের দরবারে কতদিন ছিল ? 



পরের আলোচনা ;- 

 আকাবির কা সুলুক ও এহসান কিতাবের ২০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- হজরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ) তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর ও জিকির আজকার এর যে মেহনত চালু করেছেন এবং তা করতে সকল কে আদেশ করেছেন ও আমলি নমুনা পেশ করেছেন তাও জেনে এই বেপারে আমার মনস্থির হল যে ;- তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর প্রচার করা। (আকাবির কা সুলুক ও এহসান কিতাবের ২০ নং পৃষ্টা)




একটু নিচেই লিখেছেন যে ;- কিতাব টা মানুষের হাতে পৌছানোর সাথে সাথে অনেক কানা ঘুসা সুরু হয়ে গেল। একজন তাবলিগ জামাতের জিম্মাদার তো বলেই ফেললেন যে ;- মুরিদ না হয়ে মরলে যদি বেইমান হয়ে মরতে হয় তা হলে আর মুরিদী হব না, যদিও মুরিদ হওয়ার ইচ্ছা ছিল। পৃষ্টা ১৬

এখন প্রশ্ন হল ২০;- 

আপনাদের মাহমুদ হাসান গাংগুহীর খলিফা মামুনুর রশীদ সাহেবের কিতাবের বিষয় সমালোচনা বা একজন খলিফা হুজুরের কিতাবের সমালোচনা করা ও বিরাধিতা করার পরিনাম ইসলাহী মোহনের বেলায় পরিনতি কি নিয়ে আসতে পারে ? 

প্রশ্ন নং ২১ ;- আপনাদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী তার কিতাবে লিকেছেন যে :- মুরিদ বিনয় , সম্মান ও সম্ভ্রম এর সাথে তার পারদর্শী শায়েখ এর অনুগত থাকবে যেমন মাইয়েত (মৃত বেক্তি) গোসল দাতার হাতে চুপ চাপ থাকে। ( আদাবুল মুয়াসারাত , শায়েখ এর আদব অধ্যায়, পৃষ্টা ৮৯-৯০ । 

এখন কথা হল যে :- একজন তাবলিগ জামাতের সামান্য জিম্মাদার যদি এমন গর্ব করে কথা বলে যে ;- মুরিদ না হয়ে যদি বেইমান হয়ে মরতে হয় , তবে বেইমান হয়ে মরব । এমন যদি হয় জিম্মাদারের অবস্থা , তবে যারা আজ মাত্র শুরু করেছে তাবলিগে যেতে তারা কোন পর্যায় আছে ?  




যাই হোক একটু নিচে আবার লিখেছেন যে ;- কেননা মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব নিজে ১০ বছর বয়সেই মাওলানা রশিদ আহমাদ গান্গুহির হাতে মুরিদ হন , ১০ বছর রশিদ আহমাদ এর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন এর পর ওনার মিত্তু হলে রশিদ আহমদের খলিফা মাওলানা খলিল আহমাদ সাহারান পুরীর হাতে মুরিদ হন ও খেলাফত লাভ করেন । আর এক জনের নাম মনে আসছে না তিনি তার কাছে জিহাদের জন্য ও মুরিদ হয়েছিলেন। 

এখন প্রশ্ন হল (২২) ;- 

আপনি/আপনারা  কত বছর বয়সে মুরিদ হয়েছেন ? 



প্রশ্ন নং ২৩ ;- আর কার কার হাতে মুরিদ হয়েছেন ? 


মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের মিত্তুর আগের রাত্রের দিন বুধবার মাওলানা জাকারিয়া কে বলেন যে ;- এই তাবলিগ জামাতের মধ্যে ৬ জন লোক গুরুত্বপূর্ন ,জারা আমার হাতে মুরিদ হতে চান তারা যেন এই ৬ জনের মধ্যে হতে যার কাছে ইচ্ছা মুরিদ হয়। এই ৬ জনের নাম হচ্ছে ;- (১)মৌলভি ইউসুফ (২) মৌলভি এনামুল হাসান (৩) মৌলভি রেজা হাসান (৪) মৌলভি ইহ্তিশামুল হাসান (৫) হাফেজ মক্বুল হাসান(৬) ক্বারী দাউদ 

পরে মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের মিত্তু হলে মৌলভি ইউসুফ কে সর্বসম্মতি ক্রমে মুরিদ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। (আকাবির কা সুলুক ও এহসান) পৃষ্টা ২১



প্রশ্ন নং ২৪;- বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে কে মুরিদ করিয়ে থাকেন ? 

আজকের ইজতেমা তে কে আপনাদের সকল খলিফা গনের পীর ? 



কয়েকদিন আগে একজন আপনাদের তাবলিগির সাথে কথা বলেছিলাম।  সে বলেছিল তার জিম্মাদার তার পীর । 

মাহমুদুস সুলুক কিতাবে রশিদ আহমেদ গাংগুহীর খেলাফত পাওয়া বিষয়ে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর ঘটনা টা তুলে ধরেছিলাম।  তখন বেচারা চুপ হয়ে গিয়েছিল । 



আপনি যদি মনে করেন যে ;- জিম্মাদারগন আমাদের পীর তবে একজন পীর কেমন হয় তা তুলে ধরব আপনাদের কিতাব থেকে । তখন কিন্তু বিপদ বেড়ে যাবে কয়েকদিন । 



আজকের পোষ্ট আর বড় করতে চাইতেছি না । এর পরে অন্য ছোটখাট বিষয় গুলো নিয়ে কথা হবে ইনশাল্লাহ । 



টোটাল প্রশ্ন মনে হয় ২৪  টা হয়েছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন